১। আমি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী আর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। 6:79
২। তিনি তো এক ইলাহ আর তোমরা যে তাঁর অংশীদার স্থাপন কর, তা থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত। 6:19
৩। তারা বলল, ‘আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনলাম। মূসা আর হারূনের প্রতিপালকের প্রতি।’ (7:121-7:122)
৪। আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম। 5:111
৫। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। 1:2
৬। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের জন্য।6:45
৭। তার ভিতরে তাদের দু’আ হবে, ‘‘পবিত্র তুমি হে আল্লাহ’’। আর সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘‘শান্তি’’, আর তাদের দু‘আর সর্বশেষ কথা হবে ‘‘সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য’’। 10:10
৮। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর আর দয়া না কর তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ 7:23
৯। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা কর। 2:201
১০। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্যধারণের শক্তি দান কর এবং আমাদের পদগুলো দৃঢ় রেখ এবং কাফির দলের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত কর’।
১১। আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, তাঁরই। কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সমুদয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তাঁর জ্ঞানের কোনকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়, তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তাঁর কুরসী আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দু’য়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান। 2:255
১২। ‘আমরা রসূলগণের মধ্যে কারও ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা কর আর প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে’। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আগের লোকেদের উপর যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না; হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না, (ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দাও, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর; তুমিই আমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত কর। (2:285-2:286)
১৩। হে আমাদের প্রতিপালক! সৎ পথ প্রদর্শনের পরে তুমি আমাদের অন্তরগুলোকে বক্র করে দিও না, আমাদেরকে তোমার নিকট হতে রহমত প্রদান কর, মূলতঃ তুমিই মহান দাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি সমুদয় মানুষকে একদিন সমবেত করবে, যাতে কোনও সন্দেহ নাই। নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকারের খেলাফ করেন না। (3:8-3:9)
১৪। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর’। 3:16
১৫। ‘হে আল্লাহ! তুমি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর আর যার থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছে সম্মানিত কর আর যাকে ইচ্ছে অপদস্থ কর, তোমারই হাতে সব রকম কল্যাণ, নিশ্চয়ই তুমি সকল বস্তুর উপর ক্ষমতাবান’। তুমিই রাতকে দিনের ভিতর আর দিনকে রাতের ভিতর ঢুকিয়ে দাও, তুমিই জীবিতকে মৃত হতে বের কর এবং মৃতকে জীবিত হতে বের কর আর যাকে ইচ্ছে বেহিসাব রিয্ক্ব দান কর। (3:26-3:27)
১৬। হে আমার প্রতিপালক! আমার উদরে যা আছে, তাকে আমি একান্ত তোমার উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম, কাজেই আমার পক্ষ হতে তা গ্রহণ কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। 3:35
১৭। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বেহিসাব রিযক দান করেন। ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তোমার পক্ষ হতে একটি সুসন্তান দান কর। নিশ্চয় তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। (3:37-3:38)
১৮। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের আনুগত্য স্বীকার করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ কর।’3:53
১৯। ‘আমরা আল্লাহর উপর এবং আমাদের প্রতি ও ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁর বংশধরের প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নাবীগণকে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু দেয়া হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছি; আমরা তাঁদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পিত।’ 3:84
২০। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মে বাড়াবাড়িগুলোকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আমাদেরকে দৃঢ়পদ রেখ এবং কাফিরদলের উপর আমাদেরকে সাহায্য কর।’ 3:147
২১। ‘আমাদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক!’ 3:173
২২। যারা আল্লাহকে দন্ডায়মান, উপবিষ্ট এবং শায়িত অবস্থায় স্মরণ করে থাকে এবং আসমান ও যমীনের সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা করে (ও বলে) : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সুতরাং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা কর। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে, তাকে অবশ্যই তুমি অপমান করবে আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা করতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো’। সে অনুযায়ী আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহ্গুলো ক্ষমা কর এবং আমাদের থেকে আমাদের মন্দ কাজগুলো বিদূরিত কর আর নেক বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে আমাদের মৃত্যু ঘটাও। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি স্বীয় রসূলদের মারফত আমাদেরকে যেসব বস্তুর ওয়াদা শুনিয়েছ, তা আমাদেরকে দান কর এবং ক্বিয়ামাতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করো না, নিশ্চয়ই তুমি ওয়া‘দা খেলাফ কর না।’ (3:191-3:194)
২৩। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ যালিম অধ্যূষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’ 4:75
২৪। ‘‘হে আমার প্রতিপালক! আমার আর আমার ভাইয়ের উপর ছাড়া কারো উপর আমার ক্ষমতা নেই, কাজেই এই বিদ্রোহী সম্প্রদায় থেকে আমাদেরকে পৃথক করে দিন। 5:25
২৫। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর। আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ্তে এবং যে সত্যবিধান আমাদের নিকট এসেছে তাতে ঈমান আনব না, আর আমরা প্রত্যাশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করবেন। (5:83-5:84)
২৬। হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা। 5:114
২৭। আল্লাহই হচ্ছেন শস্য দানা ও বীজ বিদীর্ণকারী, তিনি মৃত থেকে জীবন্তকে বের করেন এবং জীবন্ত থেকে মৃতকে। এই হচ্ছেন আল্লাহ; সৎপথ থেকে তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছ? 6:95
২৮। বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ‘ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)।তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। আমি কি আল্লাহকে ছেড়ে অন্য প্রতিপালক তালাশ করব? (অথচ প্রকৃতপক্ষে) তিনিই সব কিছুর প্রতিপালক। প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করে তার জন্য সে নিজেই দায়ী হবে। কোন ভারবহনকারীই অন্যের গুনাহের ভার বহন করবে না। অবশেষে তোমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল তোমাদের প্রতিপালকের নিকটেই, তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন যে সকল বিষয়ে তোমরা মতভেদে লিপ্ত ছিলে (সে সব বিষয়ে প্রকৃত সত্য কোনটি।(6:162-6:164)
২৯। হে আমাদের প্রতিপালক! ‘তুমি আমাদের আর আমাদের জাতির মধ্যে সঠিকভাবে ফায়সালা করে দাও আর তুমি হলে সর্বোত্তম মীমাংসাকারী।’ 7:89
৩০। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বনের গুণে অভিষিক্ত কর আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান কর। 7:126
৩১। ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখা দাও, আমি তোমাকে দেখব’। তিনি বললেন, ‘তুমি আমাকে কক্ষনো দেখতে পাবে না, বরং তুমি পাহাড়ের দিকে তাকাও, যদি তা নিজ স্থানে স্থির থাকতে পারে তাহলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’ অতঃপর তার প্রতিপালক যখন পাহাড়ে নিজ জ্যোতি বিচ্ছুরিত করলেন, তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল আর মূসা চৈতন্য হারিয়ে পড়ে গেল। যখন চেতনা ফিরে পেল, তখন সে বলল, ‘পবিত্র তোমার সত্ত্বা, আমি অনুশোচনা ভরে তোমার পানেই ফিরে এলাম, আর আমি প্রথম ঈমান আনছি।’ 7:143
৩২। মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আর আমার ভাইকে ক্ষমা কর, আর আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল কর, তুমিই সর্বাধিক বড় দয়াবান।’ 7:151
৩৩। ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি ইচ্ছে করলে তো এদেরকে আর আমাকেও আগেই ধ্বংস করে দিতে পারতে! আমাদের মধ্যেকার নির্বোধেরা যা করেছে তার জন্য কি তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে? ওটা তো কেবল তোমার পরীক্ষা, যাকে চাও তদ্দ্বারা পথভ্রষ্ট কর, আর যাকে চাও সত্য পথে পরিচালিত কর, তুমি আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই তো সবচেয়ে বেশী ক্ষমাশীল।’ ‘আমাদের জন্য এ দুনিয়ার কল্যাণ লিখে দাও আর পরকালেও। আমরা তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করছি।’ আল্লাহ বললেন, ‘শাস্তি তো আমি যাকে ইচ্ছে দেই, আর আমার রহমত সব বিষয়ে পরিব্যাপ্ত আর তা আমি তাদের জন্য লিখে দিব যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করবে, যাকাত দিবে আর যারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাসী হবে।’ (7:155-7:156)
৩৪। তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন আর তাত্থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। যখন সে স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হয় তখন সে লঘু গর্ভধারণ করে আর তা নিয়ে চলাফেরা করে। গর্ভ যখন ভারী হয়ে যায় তখন উভয়ে তাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ডেকে বলে, ‘যদি তুমি আমাদেরকে (গঠন ও স্বভাবে) ভাল সন্তান দান কর তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’ 7:189
৩৫। এ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও- আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি হলেন মহান আরশের মালিক। 9:129
৩৬। তখন তারা বিশুদ্ধ আনুগত্যে আল্লাহকে ডেকে বলে, ‘তুমি যদি এত্থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দাও তাহলে অবশ্য অবশ্যই আমরা শুকরগুজার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ 10:22
৩৭। তখন তারা বলল, ‘‘আমরা আল্লাহর উপরই ভরসা করি, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিম জাতির অত্যাচারের পাত্র করো না, আর তোমার অনুগ্রহে আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা কর।’’ (10:85-10:86)
৩৮। ‘‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি ফির‘আওন আর তার প্রধানদেরকে এ পার্থিব জগতে চাকচিক্য আর ধন সম্পদ দান করেছ আর এর দ্বারা হে আমাদের রবব! তারা মানুষকে তোমার পথ থেকে বিচ্যুত করছে, হে আমার প্রতিপালক! তাদের সম্পদ ধ্বংস করে দাও, আর তাদের হৃদয়কে কঠিন করে দাও, যাতে তারা ভয়াবহ ‘আযাব দেখার পূর্ব পর্যন্ত ঈমান আনতে সক্ষম না হয় (যেহেতু তারা বার বার আল্লাহর নিদর্শন দেখেও সত্য দ্বীনের শত্রুতায় অটল হয়ে আছে)। 10:88
৩৯। নূহ বলল, ‘এতে আরোহণ কর, আল্লাহর নামে এর গতি ও এর স্থিতি, আমার প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’ 11:41
৪০। সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। যদি তুমি আমাকে ক্ষমা না কর আর আমার প্রতি দয়া না কর তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ 11:47
৪১। আমরা এ কথাই বলি যে, তোমার উপর আমাদের কোন উপাস্যের অশুভ ছায়া পড়েছে।’ সে বলল, ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরাও সাক্ষী হও যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাকে তাঁর শরীক কর তার সাথে আমি পুরোপুরি সম্পর্কহীন।তাঁকে (আল্লাহ) ব্যতীত তোমরা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আর আমাকে একটুও অবকাশ দিও না। আমি নির্ভর করি আল্লাহর উপর যিনি আমার আর তোমাদের রব, এমন কোন জীব নেই যার কতৃত্ব তাঁর হাতে নয়, নিশ্চয়ই আমার রব সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।(11:54-11:56)
৪২। সে বলল, ‘যার কাছে আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে ধরার কাজ থেকে আল্লাহর পানাহ চাচ্ছি, তা করলে আমরা যালিম হিসেবে পরিগণিত হব।’ 12:79
৪৩। ই‘য়াকুব বলল, ‘না, বরং তোমরা নিজেরাই একটা কাহিনী সাজিয়ে নিয়ে এসেছ, কাজেই ধৈর্য ধারণই আমার জন্য শ্রেয়, সম্ভবতঃ আল্লাহ তাদেরকে একত্রে আমার কাছে এনে দেবেন। তিনি হলেন সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়।’ 12:83
৪৪। ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজত্ব দান করেছ, আর আমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছ। আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা! তুমিই দুনিয়ায় আর আখেরাতে আমার অভিভাবক, তুমি মুসলিম অবস্থায় আমার মৃত্যু দান করো এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো।’ 12:101
৪৫। বল, ‘এটাই আমার পথ, আল্লাহর পথে আহবান জানাচ্ছি, আমি ও আমার অনুসারীরা, স্পষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমে। আল্লাহ মহান, পবিত্র; আমি কক্ষনো মুশরিকদের মধ্যে শামিল হব না। 12:108
৪৬। সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা বলে, ‘তার কাছে তার প্রতিপালকের নিকট হতে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ বল, ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছে গুমরাহ করেন, আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে সত্য পথে পরিচালিত করেন।’ 13:27
৪৭। (পূর্বে যেমন পাঠিয়েছিলাম) এভাবেই আমি তোমাকে এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছি যার পূর্বে অনেক সম্প্রদায় গত হয়ে গেছে, যাতে তুমি তাদের কাছে তেলাওয়াত কর যা আমি তোমার প্রতি ওয়াহী করি, তবুও তারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে। বল, ‘তিনি আমার প্রতিপালক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি আর তিনিই প্রত্যাবর্তনস্থল।’ 13:30
৪৮। আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করব না কেন, তিনিই তো আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন, তোমরা আমাদেরকে যে ক্লেশই দাওনা কেন, আমরা তাতে অবশ্য অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করব, আর ভরসাকারীদের আল্লাহরই উপর ভরসা করা উচিত। 14:12
৪৯। স্মরণ কর, ইবরাহীম যখন বলেছিল, ‘হে আমার রব্ব! তুমি এ নগরীকে নিরাপদ কর আর আমাকে আর আমার সন্তানদেরকে প্রতিমা পূজা থেকে রক্ষা কর।হে আমার প্রতিপালক! এ (প্রতিমা)-গুলো বহু সংখ্যক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে। কাজেই (প্রতিমাগুলোকে বাদ দিয়ে) যারা আমাকে অনুসরণ করবে তারা আমার দলভুক্ত। আর যে আমার অবাধ্য হবে সেক্ষেত্রে তুমি তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার সন্তানদের একাংশকে শস্যক্ষেতহীন উপত্যকায় তোমার সম্মানিত ঘরের নিকট পুনর্বাসিত করলাম। হে আমার প্রতিপালক! তারা যাতে নামায কায়িম করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর যাতে তারা শুকরিয়া আদায় করে। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যা আমরা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি, আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই আল্লাহ হতে গোপন নেই। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমার বার্ধক্য অবস্থায় আমাকে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন, আমার প্রতিপালক অবশ্যই আহবান শ্রবণকারী। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও আর আমার সন্তানদেরকেও, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমার প্রার্থনা কবূল কর। হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর মু’মিনদেরকে ক্ষমা করে দিও, (14:35-14:41
৫০। তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর যেমনভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন।’ 17:24
৫১। বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে (যেখানেই) প্রবেশ করাও, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের প্রবেশ, আর আমাকে (যেখান হতেই) বের কর, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের বহির্গমন, আর তোমার নিকট হতে আমাকে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর। 17:80
৫২। যুবকরা যখন গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন কর।’ 18:10
৫৩। ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)। 18:24
৫৪। (আর আমার ব্যাপারে কথা হল) সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি কাউকে আমার প্রতিপালকের শরীক করব না। তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছে করেছেন (তা-ই হয়েছে), আল্লাহ ছাড়া কারো কোন শক্তি নেই। যদিও তুমি আমাকে ধনে-জনে তোমার চেয়ে কম দেখ, (18:38-18:39)
৫৫। সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে, আর বার্ধক্যে আমার মস্তক সাদা হয়ে গেছে, হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে ডেকে আমি কখনো বিফল হইনি। আমার পরে আমার স্বগোত্রীয়রা (কী করবে) সে সম্পর্কে আমি আশঙ্কাবোধ করছি, আর আমার স্ত্রী হল বন্ধ্যা, কাজেই তুমি তোমার তরফ থেকে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দান কর যে আমার উত্তরাধিকারী হবে আর উত্তরাধিকারী হবে ইয়া‘কুব পরিবারের; আর হে আমার প্রতিপালক! তাকে করুন আপনার সন্তুষ্টির পাত্র। (19:4-19:6)
৫৬। মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দাও আর আমার জন্য আমার কাজকে সহজ করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। আর আমার পরিবার হতে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দাও। আমার ভাই হারূনকে। তার দ্বারা আমার শক্তি বৃদ্ধি কর। আমার কাজে তাকে অংশীদার কর। যাতে আমরা বেশি বেশি করে তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি। আর তোমাকে অধিক স্মরণ করতে পারি। তুমি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছ।’ (20:25-20:35)
৫৭। তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।’ 20:45
৫৮। আল্লাহ সর্বোচ্চ, প্রকৃত অধিপতি, তোমার প্রতি (আল্লাহর) ওয়াহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন বক্ষে ধারণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করো না। আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! জ্ঞানে আমায় সমৃদ্ধি দান করুন।’ 20:114
৫৯। বল, ‘আমার প্রতিপালক আসমান ও যমীনে (উচ্চারিত প্রতিটি) কথাই জানেন, আর তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।’ 21:4
৬০। স্মরণ কর আইয়ূবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকেছিল : (এই ব’লে যে) আমি দুঃখ কষ্টে নিপতিত হয়েছি, তুমি তো দয়ালুদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। 21:83
৬১। স্মরণ কর যুন্-নুন এর কথা- যখন সে গোস্বাভরে চলে গিয়েছিল, আর ভেবেছিল যে তার উপর আমার কোন ক্ষমতা খাটবে না। অতঃপর সে (সমুদ্রের) গভীর অন্ধকার থেকে ডেকেছিল যে, তুমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তোমারই পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা করছি; বাড়াবাড়ি আমিই করেছি। 21:87
৬২। আর স্মরণ কর যাকারিয়ার কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকেছিল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সন্তানহীন করে রেখ না, যদিও তুমি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’ 21:89
৬৩। রসূল বলেছিল- হে আমার প্রতিপালক! তুমি ন্যায্য মীমাংসা করে দাও, আর আমাদের প্রতিপালক তো দয়ার আধার। তোমরা (তাঁর বিরুদ্ধে) যে সব কথা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র আশ্রয়স্থল। 21:112
৬৪। নূহ বলল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যেবাদী বলছে।’ 23:26
৬৫। যখন তুমি নৌযানে উঠে যাবে, তুমি আর তোমার সঙ্গীরা- তখন বলবে : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করেছেন।’ আর বলো : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কল্যাণকরভাবে নামিয়ে দাও, নামানোতে তুমিই সর্বোত্তম। (23:28-23:29)
৬৬। বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যদি আমাকে দেখাও (আমার জীবদ্দশায়) যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেয়া হয়েছে, 39:93
৬৭। তাহলে হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না’। 23:94
৬৮। আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 23:97
৬৯। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।’ 23:98
৭০। আমার বান্দাহদের একদল বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ 23:109
৭১। কাজেই বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা কর ও রহম কর, তুমি রহমকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।’ 23:118
৭২। মহা কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাহর উপর সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী (কিতাব) নাযিল করেছেন যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে। যিনি যমীন ও আসমানের রাজত্বের মালিক, তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর সেগুলোকে যথাযথ করেছেন পরিমিত অনুপাতে। (25:1-25:2)
৭৩। আর তারা বলে : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি দূর কর, তার শাস্তি তো ভয়াবহ বিপদ। তা আবাসস্থল আর অবস্থান নেয়ার জায়গা হিসেবে কতই না নিকৃষ্ট! (25:65-25:66)
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে : হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও। 25:74
৭৫। তারা বলল- ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি, 26:47
৭৬। যিনি মূসা ও হারুনের প্রতিপালক।’ 26:48
৭৭। তারা সবাই আমার শত্রু, বিশ্বজগতের পালনকর্তা ছাড়া। তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তিনিই আমাকে পথ দেখান। আর তিনিই আমাকে খাওয়ান ও পান করান। আর আমি যখন পীড়িত হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য করেন। যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, পুনরায় আমাকে জীবিত করবেন। আর যিনি, আমি আশা করি- কিয়ামাতের দিন আমার দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অর্ন্তভুক্ত কর। এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। এবং আমাকে নি‘য়ামাতপূর্ণ জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর। আর তুমি আমার পিতাকে ক্ষমা কর, তিনি তো গুমরাহদের অর্ন্তভুক্ত। এবং পুনরুত্থান দিবসে আমাকে অপমানিত করো না। যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোন কাজে আসবে না। কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে। (26:77-26:89)
৭৮। নূহ বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় আমাকে প্রত্যাখান করছে। কাজেই তুমি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা ক’রে দাও, আর আমাকে ও আমার সঙ্গী মু’মিনদেরকে ক্ষমা কর।’ (26:117-26:118)
৭৯। হে আমার প্রতিপালক! তারা যা করে তা থেকে তুমি আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে রক্ষা কর।’ 26:169
৮০। শু‘আয়ব বলল- ‘তোমরা যা কর, আমার প্রতিপালক সে সম্পর্কে বেশি অবগত।’ 26:188
৮১। আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তারা উভয়ে বলেছিল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর বহু মু’মিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন।’ 27:15
৮২। সুলাইমান তার কথায় খুশিতে মুচকি হাসল আর বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আমাকে শক্তি দান কর আর যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও আর তোমার দয়ায় আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।’ 27:19
৮৩। আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ্ নেই, (তিনি) মহান ‘আরশের অধিপতি।’[সাজদাহ] 27:26
৮৪। যার কাছে কিতাবের (তাওরাতের) জ্ঞান ছিল সে বলল- ‘আপনার দৃষ্টি আপনার দিকে ফিরে আসার পূর্বেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব।’ সুলাইমান যখন তা তার সামনে রক্ষিত দেখতে পেল তখন সে বলল- ‘এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ, আমাকে পরীক্ষা করার জন্য- আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞ হই। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয় (সে জেনে রাখুক), নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ।’ 27:40
৮৫। সে বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি নিজের আত্মার উপর যুলম করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ অতঃপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন, অবশ্যই তিনি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। মূসা বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার উপর অনুগ্রহ করেছ, কাজেই আমি কক্ষনো পাপীদের সাহায্যকারী হব না।’ (28:16-28:17)
৮৬। তখন মূসা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল সতর্কতার সঙ্গে। সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম গোষ্ঠী হতে রক্ষা কর।’ যখন সে মাদইয়ান অভিমুখী হল, সে বলল- ‘আশা করি আমার পালনকর্তা আমাকে সরল সোজা পথ দেখাবেন।’ (28:21-28:22)
৮৭। তখন মূসা তাদের জন্য পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে দিল, অতঃপর পেছন ফিরে ছায়ায় গিয়ে বসল, অতঃপর বলল- ‘হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই করবে আমি তো তারই ভিখারী।’ 28:24
৮৮। গতকাল যারা তার মর্যাদার ন্যায় কামনা করেছিল তারা সকলে বলতে লাগল, ‘হায়, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের যার জন্য ইচ্ছে রিযক বর্ধিত করেন আর যার জন্য ইচ্ছে হ্রাস করেন। আল্লাহ যদি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন তবে তিনি আমাদেরকেও ভূগর্ভে প্রোথিত করে দিতেন। হায়! অবিশ্বাসীরা সাফল্যমন্ডিত হয় না। 28:82
৮৯। সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! ফাসাদ সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর। 29:30
৯০। বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা। 34:39
৯১। বিশ্বজগতে নূহের প্রতি সালাম/শান্তি বর্ষিত হোক। 37:79
৯২। ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! 37:109
৯৩। মূসা ও হারূনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। 37:120
৯৪। ইলিয়াসের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। 37:130
৯৫। সে বলল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবেন। হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর। (37:99-37:100)
৯৬। সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আর আমাকে এমন রাজ্য দান কর যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভনীয় হবে না। তুমি হলে পরম দাতা। 38:35
৯৭। স্মরণ কর আমার বান্দা আইয়ূবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকে বলেছিল- শয়ত্বান আমাকে কষ্ট আর ‘আযাবে ফেলেছে (অর্থাৎ আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে আমাকে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দাহ বানানোর জন্য কুমন্ত্রণা দিয়ে চলেছে) । 38:41
৯৮। বল- হে আল্লাহ! আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমি তোমার বান্দাহদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে. 39:46
৯৯। যারা ‘আরশ বহন করে আছে, আর যারা আছে তার চারপাশে, তারা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করে আর তাঁর প্রতি ঈমান পোষণ করে আর মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ক’রে বলে- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ। সমস্ত খারাবী থেকে তাদেরকে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাকে সমস্ত খারাবী থেকে রক্ষা করলে, তার উপর তো দয়াই করলে। ওটাই হল বিরাট সাফল্য। (40:7-40:9)
১০০। মূসা বলল- আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের আশ্রয় গ্রহণ করছি সকল দাম্ভিক অহংকারীদের হতে, যারা বিচার দিবসে বিশ্বাস করে না। 40:27
১০১। আমার শাস্তি তারা যখন দেখল তখন তারা বলল- আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম আর যাদেরকে আমরা (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম। 40:84
১০২। আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যা চান তিনি সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা-সন্তান দেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দেন। অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান। (42:49-42:50)
১০৩। যাতে তোমরা যখন তাদের পিঠে স্থির হয়ে বস, তখন যেন তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর আর বল- মহান ও পবিত্র তিনি যিনি, এগুলোকে আমাদের (ব্যবহারের জন্য) বশীভূত করে দিয়েছেন, আমরা এগুলোকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে ফিরে যেতে হবে। (43:13-43:14)
১০৪। আকাশমন্ডলে তিনিই ইলাহ, যমীনে তিনিই ইলাহ, তিনি মহাবিজ্ঞ, সর্বজ্ঞ। 43:84
১০৫। (তখন তারা আরয করবে)- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিন, আমরা ঈমান আনলাম। 44:12
১০৬। অতএব প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি আসমানের প্রতিপালনকারী, যমীনের প্রতিপালনকারী, বিশ্বজগতের প্রতিপালনকারী । আকাশ ও যমীনে তাঁরই শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য, আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (45:36-45:37)
১০৭। আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা তাকে বহন করেছে কষ্টের সাথে, আর তাকে প্রসব করেছে কষ্টের সাথে। তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান ছাড়ানোয় সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে আর আমার পিতা-মাতাকে যে নি‘মাত দান করেছ তজ্জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান কর, আর আমাকে এমন সৎকর্ম করার সামর্থ দাও যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ ক’রে আমার প্রতি অনুগ্রহ কর, আমি অনুশোচনাভরে তোমার দিকে ফিরে আসছি, আর আমি অনুগত বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত। 46:15
১০৮। আসমান ও যমীনের যাবতীয় বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বের অধীন। আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, মহা প্রজ্ঞাময়। 48:7
১০৯। আসমান যমীনের রাজত্ব আল্লাহর; যাকে চান তিনি ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছে ‘আযাব দেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। 48:14
১১০। আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন জোড়া- পুরুষ আর নারী, এক ফোঁটা শুক্র হতে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয় (53:45-53:46)
১১১। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর গৌরব ও মহিমা ঘোষণা করে, তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাবান। আসমান ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই, তিনিই জীবন দেন, আর তিনিই মৃত্যু দেন, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনি প্রকাশিত আবার গুপ্ত, তিনি সকল বিষয় পূর্ণরূপে জ্ঞাত। তিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনি জানেন যা যমীনে প্রবেশ করে, আর যা তাত্থেকে বের হয়, আর যা আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয়, আর যা তাতে উঠে যায়, তোমরা যেখানেই থাক তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যে কাজই কর না কেন, আল্লাহ তা দেখেন। আসমান ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই, যাবতীয় বিষয় তাঁরই দিকে ফিরে যায় (চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য)। তিনিই রাতকে প্রবেশ করান দিনের ভিতর, আর দিনকে ঢুকিয়ে দেন রাতের ভিতর, অন্তরের গোপনতত্ত্ব সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত। (57:1-57:6)
১১২। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর গৌরব ও মহিমা ঘোষণা করে। আর তিনি (আল্লাহ) পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। 59:1
১১৩। (এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা অগ্রবর্তীদের পরে (ইসলামের ছায়াতলে) এসেছে। তারা বলে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আর আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কোন হিংসা বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি বড়ই করুণাময়, অতি দয়ালু। 59:10
১১৪। তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, অদৃশ্য ও দৃশের জ্ঞানের অধিকারী, পরম দয়াময়, পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, অতি পবিত্র, পূর্ণ শান্তিময়, নিরাপত্তা দানকারী, প্রতাপশালী, পর্যবেক্ষক, মহা পরাক্রমশালী, অপ্রতিরোধ্য, প্রকৃত গর্বের অধিকারী। তারা যাকে (তাঁর) শরীক করে তাত্থেকে তিনি পবিত্র, মহান। তিনিই আল্লাহ সৃষ্টিকারী, উদ্ভাবনকারী, আকার আকৃতি প্রদানকারী। সমস্ত উত্তম নামের অধিকারী। আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তাঁর গৌরব ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি প্রবল পরাক্রান্ত মহা প্রজ্ঞাবান। (59:22-59:24)
১১৫। ইবরাহীম ও তার সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে তোমাদের জন্য আছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল- ‘তোমাদের সঙ্গে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের আর তোমাদের মাঝে চিরকালের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ শুরু হয়ে গেছে যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে। তবে ইবরাহীম যে তার পিতাকে বলেছিল- ‘আমি অবশ্য অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব আর আমি তোমার জন্য আল্লাহর কাছ থেকে কোন কিছু করারই অধিকার রাখি না’’- এটা একটা ব্যতিক্রম। (আর ইবরাহীম ও তার সঙ্গী সাথীরা প্রার্থনা করেছিল) ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করছি, তোমারই অভিমুখী হচ্ছি, আর (সব কিছুর) প্রত্যাবর্তন তো তোমারই পানে। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, তুমি মহা পরাক্রান্ত, মহা বিজ্ঞানী। (60:4-60:5)
১১৬। যা কিছু আসমানে আছে আর যা কিছু যমীনে আছে সব কিছুই প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে আল্লাহর যিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, অতি পবিত্র, মহাপরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী। 62:1
১১৭। যা কিছু আসমানে আছে আর যা কিছু যমীনে আছে সবই আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করছে। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফির, কেউ মু’মিন; তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন। তিনি (বিশেষ উদ্দেশ্যে) সত্যিকারভাবে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন আর (সব্বাইকে) ফিরে যেতে হবে তাঁরই দিকে। তিনি জানেন যা কিছু আসমান ও যমীনে আছে, আর তিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর আর প্রকাশ কর। অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত। (64:1-64:4)
১১৮। ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর- আন্তরিক তাওবাহ। সম্ভবতঃ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কাজগুলোকে তোমাদের থেকে মুছে দিবেন, আর তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝর্ণাধারা। সে দিন আল্লাহ নবীকে আর তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে লজ্জিত করবেন না। (সেদিনের ভয়াবহ অন্ধকার থেকে মু’মিনদের রক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে) তাদের নূর দৌড়াতে থাকবে তাদের সামনে আর তাদের ডান পাশে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দাও আর আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’ 66:8
১১৯। আর যারা ঈমান আনে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। সে প্রার্থনা করেছিল, ‘‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার জন্য তোমার নিকট জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও আর আমাকে তুমি ফেরাউন ও তার (অন্যায়) কার্যকলাপ থেকে রক্ষা কর, উদ্ধার কর আমাকে যালিম সম্প্রদায় থেকে।’’ 66:11
১২০। অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব ও রাজত্ব যাঁর হাতে; তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- ‘আমালের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি (একদিকে যেমন) মহা শক্তিধর, (আবার অন্যদিকে) অতি ক্ষমাশীল। যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান- একটির উপর আরেকটি। তোমরা মহা দয়াময়ের সৃষ্টিকার্যে কোনরূপ অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তোমরা আবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, কোন দোষ-ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তোমরা বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ; ক্লান্ত, শ্রান্ত ও ব্যর্থ হয়ে দৃষ্টি তোমার দিকে ফিরে আসবে। (67:1-67:4)
১২১। তারা বলল, ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আমরা সীমালঙ্ঘনকারীই ছিলাম।’ 68:29
১২২। তারা বলল, ‘দুর্ভোগ আমাদের, আমরা ছিলাম সীমালঙ্ঘনকারী, সম্ভবতঃ আমাদের প্রতিপালক এর পরিবর্তে আমাদেরকে উত্তম (বাগান) দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম।’ (68:31-68:32)
১২৩। সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার জাতিকে রাত-দিন ডেকেছি, কিন্তু আমার ডাক কেবল তাদের পলায়নী মনোবৃত্তিকেই বাড়িয়ে দিয়েছে, (71:5-71:6)
১২৪। নূহ বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তারা আমার কথা প্রত্যাখ্যান করেছে আর আনুগত্য করছে তাদের (অর্থাৎ এমন সব লোকদের) যাদের মালধন আর সন্তানাদি তাদের ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছুই বৃদ্ধি করেনি, 71:21
১২৫। তারা গুমরাহ করেছে অনেককে, তুমি যালিমদের গুমরাহী ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করো না। 71:24
১২৬। নূহ বলল, ‘হে আমার রব্ব! ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারী কাফিরদের একজনকেও তুমি রেহাই দিও না। 71:26
১২৭। হে আমার রব্ব! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতামাতাকে যারা আমার গৃহে মু’মিন হয়ে প্রবেশ করে তাদেরকে আর মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে; আর যালিমদের জন্য ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করো না।’ 71:28
১২৮। বল: আমি শুধু আমার প্রতিপালককেই ডাকি, আর অন্য কাউকে তাঁর অংশীদার গণ্য করি না। বল- ‘আমি তোমাদের কোন ক্ষতি বা কল্যাণ করার ক্ষমতা রাখি না। বল- আল্লাহর (শাস্তি) থেকে কেউ আমাকে রক্ষা করতে পারবে না (যদি আমি তাঁর অবাধ্য হই) এবং তাঁর আশ্রয় ছাড়া আমি কোন আশ্রয়ও পাব না। (72:20-72:22)
১২৯। এর সংরক্ষণ ও পড়ানোর দায়িত্ব আমারই। 75:17
১৩০। মানুষ এমন যে, তার প্রতিপালক যখন তাকে পরীক্ষা করেন সম্মান ও অনুগ্রহ দান ক’রে, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।’ 89:15
১৩১। বল, তিনি আল্লাহ, এক অদ্বিতীয়, আল্লাহ কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন, সবই তাঁর মুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেন না, আর তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। তাঁর সমকক্ষ কেউ নয়। (112:1-112:4)
১৩২। বল, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি সকাল বেলার রব-এর, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, আর অন্ধকার রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা আচ্ছন্ন হয়ে যায়।এবং (জাদু করার উদ্দেশ্যে) গিরায় ফুৎকারকারিণীদের অনিষ্ট হতে, এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে। (113:1-113:5)
১৩৩। বল, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির, মানুষের প্রকৃত ইলাহর, যে নিজেকে লুকিয়ে রেখে বার বার এসে কুমন্ত্রণা দেয় তার অনিষ্ট হতে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে (এই কুমন্ত্রণাদাতা হচ্ছে) জিন্নের মধ্য হতে এবং মানুষের মধ্য হতে। (114:1-114:6)
Leave a comment